December 22, 2024, 2:18 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার কুষ্টিয়ার নদী ও বালুমহাল রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এসময় তিনি বালুমহাল প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, বালুমহাল হতে পরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন ও বিপণন, নিয়ন্ত্রণ, এতদ্সংক্রান্ত সংঘটিত অপরাধসমূহ দমন এবং বালুমহাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) কুষ্টিয়ায় “নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বনায়ন” বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ হতে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু এবং জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
কবির আনেয়ার বলেন দক্ষিন-পশ্চিমের একমাত্র মিঠা পানির প্রবাহ গড়াই। গড়াইকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করতে হবে। কারন এই নদীটির উপর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনবেঁচে আছে। তিনি বলেন নদীর দু’ধারে বনায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি কিছু দিন আগে তিনি কুষ্টিয়ায় নদীর তীরে বনায়ন কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেছিলেন সেটার অগ্রগতি বিষয়েও অবহিত হন।
সচিব বিশেষত কুষ্টিয়ার বালুমহাল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের উপর জোর দেন। এখান থেকে এই জেলা বড় একটি রাজস্ব হারাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। তিনি আদালতের নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে দ্রæত এর সমাধান বের করার উপর গুরুত্ব দেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে কুষ্টিয়ায় ২১টি বালুমহালে ইজারা বন্ধ রয়েছে। পদ্মা-গড়াই নদীর বালুমহালের উপর একের পর এক মামলা করে দশ বছর ধরে ইজারা বন্ধ রেখেছে একটি কুচক্রী মহল। তবে ইজারা বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। এই মহলটি জেলার বড় বড় রাজনৈতিক নেতা ও এক শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। জেলার ২১টি বালুমহাল থেকে দিনে অন্তত পাঁচ লাখ ঘনফুট মোটা বালু তোলা হয়। যার মুল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা।
বালুমহালের মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাহাদুরখালী, মহানগর, চকুয়াদামা ও শুকদেবপুর, জুগিয়া মৌজার বালুমহাল। ভেড়ামারা উপজেলার পশ্চিম চরদাদাপুর, চরগোলাগনগর-আরাজীসাড়া ও রূপপুর বালুমহাল। মিরপুর উপজেলার ঘোড়ামারা-রানাখড়িয়া, চরমাদিয়া, পশ্চিম দাদাপুর, মিনাপাড়া ও চর তালিবাড়িয়া বালুমহাল। কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া, জয়নাবাদ-ছেঁউড়িয়া, সেরকান্দি-আগ্রাকুণ্ডা-তেবাড়ীয়া-বরুড়িয়া, পাথরবাড়ীয়া-উত্তর হিজলাকর-এনায়েতপুর, গোবিন্দপুর, ভাড়রা-এলঙ্গী বালুমহাল। খোকসা উপজেলার চাঁদট-ভবানীপুর-গণেশপুর-কোমরভোগ এবং ওসমানপুর বালুমহাল। ২০০৮ সালে স্থানীয় জেলা প্রশাসন থেকে সর্বশেষ বালুমহালগুলোর ইজারা ডাকা হয়।
Leave a Reply